Elon Musk নামটি খুব চেনা চেনা লাগছে। লাগবেই তো কারণ তিনি আজ পর্যন্ত যা কিছু ছুয়েছে তা গোল্ডে পরিণত হয়েছে তার প্রতি এমন প্রবাদ আছে আমরা জানি। আর কেনোই বা প্রবাদ থাকবে না? কারণ elon musk কী করেননি। তিনি তার লাইফে অনেক কিছু তৈরি করেছেন। তার গাড়ি রয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে tesla electronic car. এরপর তার নিজের space রয়েছে, রকেট রয়েছে। তারপর রয়েছে starlink নামক একটি কোম্পানি। এছাড়াও তার আরও বড় বড় প্ল্যান রয়েছে বিভিন্ন গাড়ি এবং সবচেয়ে ভাবৃতকর বিষয় হলো তার মঙ্গলগ্রহ নিয়েও ভবিষ্যৎ প্ল্যান রয়েছে। তো অনেকেরই প্রশ্ন ছিলো যে elon musk এতো কিছু তৈরি করলো কিন্তু মোবাইল কেনো তৈরি করছে না। এখন বর্তমান সময়টা হচ্ছে স্মার্ট ফোনের যুগ আর এই যুগে elon musk এর কাছে আমরা আশা করতেই পারি।
এখন কথা হচ্ছে আপনারা ফেসবুক বা টুইটারে অথবা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়াতে অনেক দিন যাবৎ শুনে আসছেন tesla সম্পর্কে। আর এই tesla টাই হচ্ছে elon musk এর মোবাইল আবিষ্কারের নাম। তিনিও আমাদের মাঝে নিয়ে আসছেন নতুন কিছুই ধরতে গেলে। বিভিন্ন জায়গায় এর কথা শুনে আর গবেষণা করে বুঝতে পারলাম tesla টা হচ্ছে একটা স্মার্ট ফোন কিন্তু সেটাকে শুধু স্মার্ট ফোন বললে ভূল হবে। কারণ অন্যান্য মোবাইল গুলোতে যেসব ধরণে সুবিধা পাওয়া যেতো সেগুলোর থেকে আরও দশ গুনেরও বেশী সুবিধা পাওয়া যাবে elon musk এর এই tesla স্মার্ট ফোনটিতে। আমরা রেগুলার যেই স্মার্ট ফোনটি দেখে আসছি সেটা আপনি বলতে পারেন আইফোন ১৩ সিরিজের একদম টপ লেভেলের স্মার্ট ফোন বা Samsung এর টপ লেভেলের স্মার্ট ফোন যা অফার করছে তার চাইতেও বেশী এই ফোনটিতে থাকবে যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।
এতোক্ষন তো জানলাম এটার বেসিক কিন্তু এর নামটা কী এখনো জানা হলো না? অবশ্যই একটা স্মার্ট ফোন যখন রিলন্চ হয় তখন তার নাম থাকা অত্যাবশ্যক। ঠিক ওরকমই elon musk এর আবিস্কৃত সেই মোবাইলটির নাম হচ্ছে Teslam model pi smart phone. এই মোবাইলটার লুকসটা অনেকটাই আইফোন সিরিজের ১২ এবং ১৩ মডেলের মতো বললেই চলে। কারণ এর বডি ফ্রেম যেটা ওইটা আইফোনের মতো স্কয়ার টাইপের। আর এই মোবাইলটি tesla এর অন্যতম মোবাইল হতে চলেছে। মোবাইলের ব্যাক ক্যামেরা বেশ ভালোই আইফোনের মতো বললেই চলে। tesla এর বিভিন্ন আবিষ্কৃত জিনিস যেমন tesla কার দ্বারা এটি দিয়ে কন্ট্রোল করা যাবে আবার এই মোবাইলটিকে দিয়ে রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য মোবাইলে যেসকল ফিচার পাওয়া যায় ঠিক ওইটাতেও ফিচার পাওয়া যায় কিন্তু একটু বেশী আরকি।
এতক্ষন তো বললাম মোবাইলটার বেসিক সম্পর্কে যেটা প্রত্যাকটি স্মার্ট ফোনে থাকে। এখন কথা হচ্ছে কী কারণে আমরা tesla মোবাইলটিকে সবার থেকে আলাদা বিবেচনা করবো? তো এখন বলবো এই মোবাইলটির আসল ফিচার। tesla pi smart phone এটার সম্পর্কে বর্তমানে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে এটি এমন একটি মোবাইল যেটাতে কোনো চার্জার লাগে না। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে অটোমেটিক চার্জ হয়ে যাবে। ভাবা যায় এটা? চার্জার ছাড়া মোবাইল চালানো। শুধু তাই নয় এটাতে এমন ফিচার থাকবে যেটা অভাবনীয় কোনো মানুষ ভাবতেও পারে না যে এরকম কোনো স্মার্ট ফোন আসবে ভবিষ্যতে। tesla কোম্পানির মোবাইল তো বুঝতেই পারছেন কী রকম একটা আবিষ্কৃত জিনিস নিয়ে আসতে পারে। তো এই ফিচার টা হচ্ছে ধরুন মোবাইলটা এখন আপনার হাতে আপনি যদি মনে মনে কিছু চিন্তা করেন ওই চিন্তাটা মোবাইল বুঝে যাবে এবং সাথে সাথে আপনার সামনে ওইটা শো করবে। মানে মাইন্ড রিডার। কেমনে কীভাবে এগুলো কী মানা যায়? টেসলার আবিষ্কার তো এজন্যই।
চার্জার ছাড়াও কী tesla model pi ফোনটি চালানো যাবে?
জ্বী অবশ্যই পারা যাবে। টেসলা তাদের মোবাইলটিতে ঠিক এইরকম ফিচার দিয়ে তৈরি করছে। অন্যান্য যে সকল মোবাইল রয়েছে যেমন: আইফোন, স্যামসোং, গুগল, ওয়ানপ্লাস তারা কিন্তু তাদের মোবাইল থেকে চার্জার জিনিসটা সরিয়ে ফেলছে। আর এইদিকে টেসলা মোবাইলটিতে চার্জ নাকি দিতেই হবে না। আর দিলেও আপনার ইচ্ছা। কারণ চার্জ হচ্ছে অপশনাল থাকবে এটিতে। এটি সোলার দ্বারা চার্জ হয়ে যাবে অনায়াসে। এটা তেমন একটা অসম্ভব বিষয় না টেসলা অর্থাৎ ইলন মাস্ক এর জন্য। কারণ tesla model pi এর মালিক ইলন মাস্ক এর নিজিস্ব সোলার বিজনেস আছে। ওখান থেকে সোলার সিস্টেমটা এড করা হবে বলে মনে করছে সবাই।
ইন্টারনেট কেমন চালানো যাবে টেসলার এই ফোনটি দিয়ে?
প্রথমেই বলে রাখি যেহুতু এটি ইলন মাস্ক এর আবিষ্কার তো বলাই যেতে পারে সব দিক দিয়ে বেস্ট বেস্ট ফিচার পাওয়া যাবে। ঠিক ইন্টারনেটের দিক দিয়েও কম যাবে না এই মোবাইলটি। সর্বশেষ জানা গেছে যে এই ফোনটিতে এমন একটি অবিশ্বাস্য ফিচার দিবে যা কেউ কল্পনাও করে নাই। এর মধ্যে ইন্টারনেটের বিষয় টা কিছুই না। আর এই ফিচারটার সম্পর্কে পরবর্তী paragraph এ জানবেন।
ইন্টারনেটের কী ব্যবহার তা আমরা ২০২২ সালে নিশ্চয় বুঝে গেছি। তো এই ইন্টারনেট চালাতে গেলে আমরা অনেক সময় দূর্ভিক্ষের স্বীকার হই। টেসলা মডেল পিআই আবিষ্কারের ফলে ইন্টারনেট নিয়ে আর চিন্তাও করতে হবে না। আপনি যদি এমাজন জঙ্গলে থাকেন আর মঙ্গলগ্রহেও থাকেন আপনার মোবাইলে নেট চলবে। আপনি মোবাইলটি দ্বারা সব করতে পারবেন তখন। এসব ফিচার থাকলেই মোবাইল জগতে অন্য কোনো ফিচার লাগে না।
টেসলার মোবাইলটিতে নাকি NEURALINK থাকবে?
বিভিন্ন গণমাধ্যমের মধ্যে জানা গেছে যে ইলন মাস্ক এর নতুন ফোনটাতে সবথেকে কঠিন অর্থাৎ সবথেকে বড় যেই ফিচারটা আসবে সেটা হচ্ছে neuralink. এখন অনেকেই বলতে পারেন যে neuralink জিনিসটা আসলে কী? neuralink হচ্ছে যন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের কানেকশন। ঠিকই শুনছেন যন্ত্রের সাথে ব্রেইনের কানেকশন যখন আপনার মাথায় কোনো কিছু ঘুরপাক খাবে তখনই মোবাইলটি বুঝে যাবে আপনি কী বলতে চাচ্ছেন।
ধরুন আপনার হাতে মোবাইলটি নিয়ে বসে আছেন। মোবাইল টিপছেন না। কিন্তু আপনার মন চাচ্ছে এখন যদি ফেসবুকটা চালানো যেতো? ঠিক সেই সময়েই আপনার মোবাইলের স্ক্রিন অন হয়ে ফেসবুক অপেন হয়ে যাবে। আবার ধরেন আপনি চাচ্ছেন দেখতে যে আপনার ওই পোষ্টটিতে লাইক কতটা হয়েছে ঠিক তখনই এটি অটোমেটিক আপনার প্রোফাইলের মধ্যে ঢুকে পোষ্টটি দেখাবে। মানেটা ভাবা যায়?
এই ফিচারটা কার্যকর হবে ওইসব ব্যক্তিদের উপর যারা কোমায় আছে। যারা কোমায় থাকে তারা কিন্তু নড়াচড়া করতে পারে না কিন্তু মনে চায় অনেক কিছু করতে। আর তাদের যদি এটি করা হয় তাহলে তাদের কথা সহজেই বুঝে যাবে সবাই। মোবাইলের মধ্যে এটি একটি প্রোডাক্ট হিসেবে ধরতে পারেন। কারণ এই ফিচারটি default থাকবে না। এটিকে purchase করে চালাতে হবে। আলাদা ভাবে purchased করার সুযোগ থাকবে এই ফিচারটি।
টেসলা মডেল পিআই এর প্রাইস কত?
ইলন মাস্ক যে এই মোবাইলটি তৈরি করবে এটা জানিয়েছে কিন্তু প্রাইস জানাইনি। কারণ কোনো কোম্পানি তাদের মোবাইল রিলন্স হবার আগে কখনো প্রাইস বলতে পারে না। তবে ধরা যায় এটি আইফোনের ৫ গুন দাম হবে। অনেকেই সার্চ করবে গুগলে এটির প্রাইস কত? কিন্তু তারা ভুল ইনফরমেশন পাবে কারণ এটার প্রাইস এখনো আসে নাই মার্কেটে। মার্কেটের মধ্যে আসার পর প্রাইস নির্ধারণ হবে। আর তার আপডেট এই সাইটে পেয়ে যাবেন।
এসব ফিচার যে পাওয়া যাবে কতটুকু সত্য?
এখনো সবাই এটি নিয়ে কনফিউস হয়ে আছে যে এটি কী আদো সত্য নাকি পুরোটাই গুজব। আমি বলি কি এইটা হচ্ছে ২০২২ সাল। আর এই সময় বিশ্বে যা পরিবর্তন হয়েছে না এর মধ্যে এটি কিছুই না। কিন্তু কথা হচ্ছে এই যে ফিচার গুলো বললাম আমি এগুলো গণমাধ্যম থেকে নেওয়া। এখানে একটা ফিচারের কথাও শেয়ার করেননি ইলন মাস্ক। তো এটি যখন আবিষ্কার হবে এবং মার্কেটে বের হবে তখন হয়তো বিশ্বাস হবে। আর আগে এরকম কিছু ভুলেও আমাদের বিশ্বাস হবে না। তো আমরা শুধুমাত্র গণমাধ্যম এর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারি না। যখনই ইলন মাস্ক নিজে বলবে এই কথা তখন না হয় হবে।
আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এটি। আর কোনো ভুল হয়ে থাকলে কমেন্টে বা ইমেইল করে জানাতে পারেন। চেষ্টা করবো ঠিক করার। আর হে সবসময় সাথেই থাকবেন আমাদের ধন্যবাদ।